তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার : উত্তেজনা বিষ্ণুপুরের বেলিয়াড়াতে

30th August 2020 9:39 am বাঁকুড়া
তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার : উত্তেজনা বিষ্ণুপুরের বেলিয়াড়াতে


দেবব্রত মন্ডল ( বিষ্ণুপুর ) : এলাকাবাসী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল আগ্নেয়াস্ত্র সহ বোমা তৈরীর মশলা । তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে র জেরে আগষ্ট মাসের শুরুতেই বোমার আঘাতে জখম হয়ে মৃত‍্যু হয়  প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান বাবর আলি সেখ এর । ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বেলিয়াড়া গ্ৰামে । অভিযোগ , উলিয়াড়া গ্ৰাম পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান এর স্বামী রহিম মন্ডলের সাথে ক্ষমতা দখলের লড়াই । তার জেরেই বোমাবাজী ও মৃত‍্যুর ঘটনা । তারপর থেকেই রাজনৈতিক উত্তেজনা অব‍্যাহত এলাকায় । রবিবার এলাকাবাসী ও পুলিশ এর যৌথ অভিযানে বর্তমান গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাসমিনা খাতুন এর বাড়ি থেকে উদ্ধার হল পিস্তল , গুলি , হাতকামান সহ অনান‍্য অস্ত্র । বর্তমানে পঞ্চায়েত প্রধান এলাকায় নেই বলেই গ্ৰামবাসীরা জানিয়েছেন । ঘটনার পর থেকেই পলাতক । অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী রহিম মন্ডল বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে । তারমধ‍্যেই এই বিপুল পরিমান অস্ত্র সহ বোমা তৈরীর মশলা উদ্ধারের ঘটনাকে ঘিরে ফের উত্তপ্ত বেলিয়াড়া । বিশাল পুলিশ বাহিনী রয়েছে এলাকায় । এত পরিমান অস্ত্র কিভাবে মজুত করা হয়েছিল কোথা থেকে আনা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ । 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।